হৃদয়ের গহীনে পপি পাহাড়ের হাতছানি

জাপানের ইয়োকোহামার কোলাহলপূর্ণ রাস্তা এবং সমুদ্র তীরের হাঁটা পথের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে টামাকো হাই স্কুল। ১৯২০-এর দশকে এটি মেয়েদের স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিকে সহ-শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা হয়। ১৯৬০-এর দশকের শুরুতে, স্কুলটি একটি প্রাণবন্ত মিলনস্থলে পরিণত হয়, যেখানে বিভিন্ন জীবন থেকে আসা শিক্ষার্থীরা বন্ধুত্ব তৈরি করতে, একাডেমিক উৎকর্ষতা অর্জন করতে এবং কৈশোরের জটিলতা কাটিয়ে উঠতে একত্রিত হতো। এই গতিশীল পটভূমিতে, স্কুলের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দুইজন কিশোর-কিশোরী একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হয়। ১৪ বছর বয়সী মেধাবী এবং পরিশ্রমী উমি মাতসুজাকি, যুদ্ধের সময় সমুদ্রে তার বাবাকে হারিয়েছে। তার জীবন কর্তব্য, আনুগত্য এবং দেশের অতীতের সাথে গভীর সংযোগের দ্বারা চিহ্নিত। স্কুলের পূর্ব দিকের উপরে তাদের অ্যাপার্টমেন্ট ছিল একটি আরামদায়ক আশ্রয়স্থল, যেখানে সে তার অবসর সময় পড়া, অধ্যয়ন এবং বারান্দায় শোভা পাওয়া многочис গাছগুলোর যত্ন নিত। শুন কাজামা ছিল কয়েক বছরের বড়, একটি সহজ এবং দুঃসাহসিক স্পৃহার অধিকারী, যা প্রায়শই তাকে স্কুলের কঠোর নিয়মের সাথে দ্বন্দ্বে ফেলে দিত। যুদ্ধের পরে তার দাদার সাথে আশ্রয় নেওয়া এক অনাথ ছেলে, যে শিল্পকলা, ইতিহাস এবং তার দেশের পুনর্মিলনের সংগ্রামের গল্পগুলোর প্রতি গভীর উপলব্ধি নিয়ে বেড়ে উঠেছে। শুনের অনুসন্ধিৎসু মন এবং অনুসন্ধানের প্রতি ভালোবাসা তাকে স্কুলের উপকণ্ঠে একটি ছোট এবং অনাড়ম্বর ক্যাফেতে নিয়ে যায়, যেখানে সে প্রায়ই ক্যাফের মালিক, সরা টোকিতার সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প করত। উমি এবং শুনের যাত্রা শুরু হয় স্কুলের বুলেটিন বোর্ডে একটি পোস্টার প্রচারণার মাধ্যমে, যেখানে তারা স্কুলের ছাত্র কাউন্সিলের কার্যকলাপ প্রচারের জন্য একসাথে কাজ করত। তাদের প্রথম দিকের সাক্ষাৎগুলো ছিল কিছুটা বিশ্রী এবং অপরিচিত। তবে যখন তারা আরও ঘন ঘন মেলামেশা করতে শুরু করল, তখন বন্ধুত্বের একটি স্ফুলিঙ্গ তৈরি হতে শুরু করে। বিভিন্ন প্রকল্পে একসাথে কাজ করার সময়, উমি এবং শুন তাদের স্কুলের ইতিহাসের প্রতি তাদের shared আবেগ এবং পূর্বের প্রজন্মের बलिदानগুলোকে সম্মান জানানোর ইচ্ছার মধ্যে মিল খুঁজে পায়। তবে, তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের গভীরে একটি চাপা রহস্য লুকিয়ে ছিল, যা তাদের আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দেয়। স্কুলের রেকর্ড খুব গভীরে ঘেঁটে উমি ১৯৪৫ সালের একটি রহস্যময় ভুক্তি খুঁজে পায়, যা যুদ্ধের শেষ হওয়ার কিছু আগেকার। এই ভুক্তিতে শ্নুন নামের এক শিক্ষার্থীর একটি বেনামী চিঠির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে স্কুলের ভেতরে ঘটে যাওয়া একটি দুঃখজনক ঘটনার ইঙ্গিত ছিল। উমির মনে যখন ঘটনাটি নিয়ে কৌতূহল বাড়তে থাকে, তখন সে স্কুলের তৎকালীন ছাত্র কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজুকো এবং শুনের মৃত ভাই Takeshi -কে নিয়ে একটি দীর্ঘদিনের ভুলে যাওয়া দুর্ঘটনার সূত্র খুঁজে পায়। উমির গবেষণা যখন ঘটনা সম্পর্কে আরও তথ্য প্রকাশ করে, তখনই শুনের সাথে তার সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। Takeshi সেই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল এবং শ্নুন সেই তথ্যটি তার থেকে গোপন রেখেছিল - এই বিষয়টি তাদের মধ্যে একটি ফাটল তৈরি করে। উমির আবিষ্কারে শ্নুন নিজেকে বিশ্বাসঘাতক মনে করে, অন্যদিকে উমি কষ্ট পায় যে শ্নুন কেন তার থেকে তথ্যটি গোপন করেছিল। তাদের বন্ধুত্বে চিড় ধরে এবং তাদের এক সময়ের শক্তিশালী বন্ধন দুর্বল হতে শুরু করে। তাদের অমিল সত্ত্বেও, উমি এবং শ্নুন তাদের স্কুলের past- এর সত্য উন্মোচন করতে এবং সেই ট্র্যাজেডিতে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের জন্য closure আনতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল। একসাথে, তারা একটি তদন্ত শুরু করে, যার জন্য তাদের স্কুলের ইতিহাসে গভীরভাবে খনন করতে এবং দীর্ঘকাল ধরে লুকানো বেদনাদায়ক স্মৃতিগুলোর सामना করতে হয়েছিল। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে, তারা কাজুকোর ভাগ্য এবং Takeshi -এর মৃত্যুর পেছনের পরিস্থিতি সম্পর্কে সত্য জানতে পারে। অবশেষে, উমি এবং শুনের বন্ধুত্ব তাদের একসাথে সম্মুখীন হওয়া সংগ্রামের ফলস্বরূপ আরও শক্তিশালী এবং স্থিতিস্থাপক হয়ে ওঠে। তারা যে গোপনীয়তাগুলি আবিষ্কার করেছে এবং যে চ্যালেঞ্জগুলি তারা অতিক্রম করেছে, তা তাদের আরও close নিয়ে এসেছে, তাদের মধ্যে গভীর বোঝাপড়া এবং সহানুভূতি তৈরি করেছে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে, উমি және শш осознает, что их отношения больше, чем поверхностные эмоции, это свидетельство способности вопреки всему находить гармонию.