নাম পরিবর্তন

নাম পরিবর্তন

Trama

জন ফ্রাঙ্কেনহাইমারের পরিচালনায় ১৯৬৬ সালের নিও-নোয়ার সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ফিল্ম 'নাম পরিবর্তন'-এ, প্রধান চরিত্র আর্থার হ্যামিলটনকে (জন র্যান্ডলফ অভিনীত) একজন মধ্যবয়স্ক, মোহভঙ্গ হওয়া ব্যাংকার হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে, যিনি তার জীবনের সীমাবদ্ধতায় শ্বাসরুদ্ধ বোধ করেন। একজন প্রেমময় স্ত্রী নিকি (ফ্রান্সিস স্টার্নহেগেন অভিনীত) এবং একটি আপাতদৃষ্টিতে সমৃদ্ধ কর্মজীবন থাকা সত্ত্বেও, হ্যামিলটন এখনও অসন্তুষ্ট বোধ করেন এবং আরও কিছু পাওয়ার জন্য আকুল হন। তিনি তার জীবনের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেতে চান। হ্যামিলটনের জীবনের অসন্তুষ্টি চরমে পৌঁছায় যখন তিনি 'বিউরেগার্ড "বিউ" বুচ্যাম্প' (মারে হ্যামিল্টন অভিনীত) নামে পরিচিত একজন রহস্যময় এবং ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তির সাথে দেখা করেন। বিউ একজন মার্জিত, আকর্ষণীয় এবং রহস্যময় ব্যক্তিত্ব যিনি তার ক্লায়েন্টদের পরিচয় মুছে দিয়ে নতুন করে শুরু করার জন্য পরিচিত। নতুন করে শুরু করার সম্ভাবনা দেখে কৌতূহলী হ্যামিলটনকে একটি বিপ্লবী নতুন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় যা তার চেহারা সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করে দেবে, যা তাকে তার পুরনো জীবন ত্যাগ করতে এবং একটি নতুন পরিচয় গ্রহণ করতে দেবে। এই প্রক্রিয়ায় শারীরিক পরিবর্তনের মাধ্যমে হ্যামিলটনের সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে। তার পুরনো জীবন মুছে ফেলে এবং একটি নতুন জীবন তৈরি করার মাধ্যমে, তিনি তার বর্তমান জীবনের সীমাবদ্ধতা থেকে বাঁচতে এবং তার অতীতের বোঝা থেকে মুক্তি পেতে সক্ষম হবেন। কিছু দ্বিধা নিয়ে, হ্যামিলটন এই অসাধারণ যাত্রা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে, যখন হ্যামিলটনকে তার নতুন পরিচয় - অ্যান্টিওক "টনি" উইলসন নামে একজন যুবক, ক্যারিশম্যাটিক পুরুষের সাথে পরিচয় করানো হয়, তখন পরিস্থিতি অপ্রত্যাশিত মোড় নেয়। তার নতুন চেহারা এবং ব্যক্তিত্বের সাথে, টনি সতেজ এবং প্রাণবন্ত বোধ করে। প্রাথমিকভাবে, সবকিছু নিখুঁত মনে হয় এবং টনি স্বাধীনতা এবং সম্ভাবনা নিয়ে বিশ্বকে ঘুরে দেখতে সক্ষম হয়। তিনি লুনা (রক হাডসন অভিনীত) নামের এক যুবতীর সাথে infatuated হন এবং বোহেমিয়ান এবং শিল্পীদের জগতের প্রতি আকৃষ্ট হন। টনি যখন তার নতুন জীবনে প্রবেশ করে, তখন সে বুঝতে শুরু করে যে তার নতুন জীবনের নিজস্ব কিছু সমস্যা রয়েছে। তার নতুন পরিচয় বাস্তবতার একটি অগভীর অনুকরণ, এবং তাকে সম্পর্ক এবং প্রত্যাশার একটি জটিল জাল পরিচালনা করতে বাধ্য করা হয়। তিনি আর আর্থার হ্যামিলটন, সেই মধ্যবয়স্ক ব্যাংকার নেই, তিনি একজন যুবক, আদর্শবাদী শিল্পী যে বিশ্বে তার স্থান খুঁজে পেতে সংগ্রাম করছে। টনি যখন তার নতুন বাস্তবতা পরিচালনা করে, তখন তাকে একাধিক হতাশাজনক ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় যা পরিচয় এবং বাস্তবতা সম্পর্কে তার ধারণাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করে। তিনি এমন কিছু চরিত্রের মুখোমুখি হন যারা তাকে তার পুরনো জীবনে চেনে, যা তাকে এই সম্ভাবনার মুখোমুখি হতে বাধ্য করে যে সে তার অতীত থেকে ততটা বিচ্ছিন্ন নয় যতটা সে ভেবেছিল। তার পুরনো জীবন এবং নতুন পরিচয়ের মধ্যে পার্থক্যগুলো ঝাপসা হতে শুরু করে, এবং সে তার অস্তিত্বের সত্য প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন করতে বাধ্য হয়। শেষ পর্যন্ত, টনিকে তার নতুন জীবনের অন্ধকার দিকগুলোর মুখোমুখি হতে বাধ্য করা হয় এবং তার পুরনো পরিচয় মুছে ফেলার সিদ্ধান্তের মূল্য দিতে হয়। তার সম্পর্কগুলো tensed হয়ে যায়, এবং সে তার চারপাশের বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করে। চলচ্চিত্রটি যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন টনি পরিচয়ের আসল অর্থ এবং তার কাজের পরিণতি নিয়ে চিন্তা করতে বাধ্য হয়। 'নাম পরিবর্তন' পরিচয়, অস্তিত্ব এবং মানুষের অবস্থা নিয়ে একটি চিন্তামূলক পরীক্ষা। আর্থার হ্যামিলটনের টনি উইলসনে রূপান্তরিত হওয়ার মাধ্যমে, চলচ্চিত্রটি বাস্তবতার প্রকৃতি এবং আমাদের আত্ম-অনুভূতির উপর বাহ্যিক প্রভাবের বিষয়ে প্রশ্ন তোলে। এটি মানুষের অভিজ্ঞতার একটি শক্তিশালী অন্বেষণ, যা আজও দর্শকদের সাথে resonance তৈরি করে। এর সমৃদ্ধ বিষয়, জটিল চরিত্র এবং আকর্ষণীয় বর্ণনা সহ, 'নাম পরিবর্তন' আমেরিকান সিনেমার একটি ক্লাসিক হিসাবে রয়ে গেছে, একটি চলচ্চিত্র যা আগামী প্রজন্ম ধরে দর্শকদের মুগ্ধ এবং চ্যালেঞ্জ জানাতে থাকবে।

নাম পরিবর্তন screenshot 1
নাম পরিবর্তন screenshot 2
নাম পরিবর্তন screenshot 3

Recensioni